Monday 14 June 2010

মাহমুদুর রহমানকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে চায় সরকার

সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া

বিএনপির চেয়ারপারসন ও জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছেন, সরকার মাহমুদুর রহমানকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে চায়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার নামে রিমান্ডে নেওয়া হলেও কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। বরং চোখ বেঁধে, বিবস্ত্র করে তাঁকে পিটিয়ে অজ্ঞান করে ফেলা হয়েছে।
গতকাল রোববার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া এ অভিযোগ করেন। তিনি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাবধান করে দিয়ে বলেছেন, মাহমুদুর রহমান যাঁদের হেফাজতে ছিলেন, কেবল তাঁরাই দায়ী হবেন না; সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সরকারের শীর্ষপর্যায় থেকে যাঁরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাঁরাও দায় এড়াতে পারবেন না।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমি আবারও রাষ্ট্রের সকল অঙ্গের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সাবধান করে দিতে চাই। সংবিধান ও আইনের বাইরে কাজ করবেন না। এর পরিণাম ভালো হবে না। ফ্যাসিস্টদেরকে মদদকারী হওয়া থেকে বিরত থাকুন। সরকারি কর্মকর্তারা আইন ভঙ্গ করবেন না। মনে রাখবেন, কোনো সরকারই শেষ সরকার নয়।’
দৈনিক আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর এই নির্যাতনের তদন্ত ও দোষীদের বিচার দাবি করেন বিরোধীদলীয় নেত্রী। তিনি একই সঙ্গে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে করা হয়রানিমূলক সব মামলা প্রত্যাহার করে তাঁকে মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি দাবি জানান।
খালেদা জিয়া বলেন, গভীর রাতে পাঁচ-ছয়জন লোক ক্যান্টনমেন্ট থানাহাজতে ঢুকে মাহমুদুর রহমানকে চোখ বেঁধে, বিবস্ত্র করে মেঝেতে ফেলে দেন। পৈশাচিক কায়দায় তাঁর ওপর শারীরিক নির্যাতন চালান। এসব তথ্য মাহমুদুর রহমান নিজে প্রকাশ্য আদালতে বলেছেন। তার পরও হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই আরেকটি মামলায় তাঁকে আবার চার দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
রিমান্ডে নিলে কীভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে, এ বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের সময়ও মানা হয়নি। রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের দায় বিএনপি এড়াতে পারে কি না—এ প্রশ্নের জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমাদের আমলে সবাই জামিন পেয়েছে। কাউকে রিমান্ডে নেওয়া হয়নি।’
খালেদা জিয়ার এ জবাব দেওয়ার আগে সাবেক আইনমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আমরা এখানে অতীতের কথা বলতে আসিনি। আমরা এসেছি বর্তমানের কথা বলতে। তা ছাড়া মাহমুদুর রহমানকে যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, তখন এভাবে কাউকে নির্যাতন করা হয়নি।’

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2010-06-14/news/70815

No comments:

Post a Comment