Sunday 13 June 2010

অভিযোগ জানাতে গিয়ে মার খেতে হলো!

সাংসদকে ছেলে হত্যার অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার দক্ষিণ আলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী রশিদ আলম। কিন্তু কুমিল্লা-১০ (নাঙ্গলকোট ও সদর দক্ষিণের একাংশ) আসনের সাংসদ আ হ ম মুস্তফা কামালের সামনেই মার খেতে হলো রশিদ আলমকে। গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবদুল মালেক ও তাঁর সহযোগীরা রশিদ আলমকে মারধর করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ মার্চ রশিদের একমাত্র ছেলে সালাহউদ্দিন ভূঁইয়াকে (৫) শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রশিদ আলম নাঙ্গলকোট থানায় ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে স্থানীয় সাংসদ আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে ছেলে হত্যার অভিযোগ জানাতে যান রশিদ। তখন আসামির পক্ষে অবস্থান নেওয়া উপজেলা যুবলীগের নেতা আবদুল মালেক, তাঁর ভাই আবদুল মতিন, রেজাউর রহমান ও খোরশেদ আলম সাংসদের সামনেই রশিদকে মারধর করেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে পুলিশ এসে লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় রশিদ আলম ও তাঁর ভাই খোরশেদ আলমকে নাঙ্গলকোট থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। সারা রাত থানায় রাখার পর গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
ধাক্কাধাক্কির সময় যুবলীগের নেতা আবদুল মালেক, রশিদ আলম, খোরশেদ আলম, বক্সগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মকবুল আহমেদসহ অন্তত পাঁচজন আহত হন।
এ ব্যাপারে যুবলীগের নেতা আবদুল মালেক বলেন, ‘সেখানে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। আমি মাথায় আঘাত পেয়েছি।’ রশিদ আলমকে মারধরের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
রশিদ আলম বলেন, ‘আবদুল মালেক সবার সামনে আমাকে ঘুষি মেরেছেন। তাঁর লোকজনের মারধরে আমার ভাইসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
আমি এমপি সাহেবের কাছে ছেলে হত্যার বিচার চাইতে গিয়েছিলাম। উল্টো মার খেলাম এবং এক রাত থানায়ও থাকলাম।’
নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সেখানে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। বড় ধরনের কোনো গণ্ডগোল হয়নি।’ রশিদ ও তাঁর ভাইকে থানায় রাখার ব্যাপারে ওসি বলেন, ‘তাঁদের ওপর যাতে কেউ আঘাত করতে না পারে, সে জন্য থানা হেফাজতে রাখা হয়েছিল। আটক করা হয়নি।’
এ ব্যাপারে গতকাল বিকেলে দুবার এবং রাতে একবার সাংসদ মুস্তফা কামালের মুঠোফোনে চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2010-06-13/news/70581

No comments:

Post a Comment