Tuesday 16 March 2010

যুবদলের সমাবেশ করতে দেয়নি পুলিশ : বিএনপি অফিসে ব্যারিকেড প্রতিবাদে ৩ দিনের কর্মসূচি




স্টাফ রিপোর্টার
পুলিশের বাধার মুখে গতকাল সমাবেশ করতে পারেনি জাতীয়তাবাদী যুবদল। গতকাল দুপুরের পর থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দিনভর ব্যারিকেড দিয়ে রাখে পুলিশ। সমাবেশে আসা দলীয় নেতাকর্মীদের ব্যারিকেডের মধ্য থেকে বের হতে দেয়া হয়নি। এ ঘটনার প্রতিবাদে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, তারা আবেদন করলেও পুলিশ তাদের অনুমতি দেয়নি, আবার নিষেধও করেনি। হঠাত্ দুপুরে এসে জানায় সমাবেশ করা যাবে না। তিনি বলেন, বিএনপি অফিসের সামনে ব্যারিকেড দেয়া হবে বলে প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণা দিয়েছেন, ন্যক্কারজনকভাবে তা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
পল্টন থানার ওসি মজিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, যুবদলের আবেদন গ্রহণ করা হলেও সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি। এর আগে তিনবার অনুমতি ছাড়াই সমাবেশ করেছে তারা।
দলের সংসদ সদস্য এম কে আনোয়ারের গ্রামের বাড়িতে হামলা, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের, আন্তর্জাতিক সম্পাদক আ ন ম এহছানুল হক মিলনকে কারাগারে প্রেরণসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-নির্যাতনের প্রতিবাদে এ সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশ কিছু না জানিয়ে দুপুরে সমাবেশ করা যাবে বলে জানিয়ে দেয়।
পুলিশের নির্দেশ উপেক্ষা করে সমাবেশ করার জন্য প্রস্তুতি নেয় যুবদল। পুলিশও সমাবেশ যেন না হয়, এজন্য জলকামান এবং প্রিজন ভ্যানসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। যুবদলের নেতাকর্মীরা দুপুর থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসতে থাকলে পুলিশ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। নেতাকর্মীরা কয়েকবার ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে কিছুটা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সমাবেশের কর্মসূচি বাতিল করলে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে চলে যায়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল অভিযোগ করেন, সকাল ১১টা থেকে নয়া পল্টনের কার্যালয়ের সামনে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। দুপুরের পরে জলকামান ও কাঁটাতারের ব্যারিকেড এনে জমা করা হয়। বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীর মিছিল আসতে বাধা দেয়া হয়।
আলাল বলেন, সরকার আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করছে। সমাবেশস্থলে ১৪৪ ধারাও জারি হয়নি। তারপরও নেতাকর্মীদের অবস্থান করতে দিচ্ছে না। এটা সরকারের একদলীয় বাকশালী স্বৈরাচারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১৯ মার্চ দেশব্যাপী প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল, ২০ মার্চ জেলা ও বিভাগীয় সদরে সমাবেশ এবং ২২ মার্চ রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরব, সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোরতাজুল করিম বাদরু, সাংগঠনিক সম্পাদক আকম মোজাম্মেল হক, বিএনপির সহদফতর সম্পাদক শামীমুর রহমান, সাবেক সহসভাপতি কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর যুবদল নেতা মামুন হাসান, হামিদুর রহমান হামিদ, এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, রফিকুল আলম মজনু প্রমুখ।
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/03/17/23140

No comments:

Post a Comment