Friday 12 March 2010
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের ব্যর্থতাই দায়ী : মানবাধিকার সংগঠন : নারী নির্যাতন বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে
অলিউল্লাহ নোমান
নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর হত্যাকাণ্ড সম্প্রতি আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। নারী নির্যাতনের ধরনও পাল্টে গেছে অনেকটা। এখন মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটেও নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো প্রকাশিত এক বছরের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরে শুধু ধর্ষণের পর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৯৭ নারী ও কন্যাশিশু। আর ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৪৫৪ জন নারী। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক নারী ২১১ জন এবং কন্যাশিশু ২৪৩ জন। গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৯৭ প্রাপ্তবয়স্ক নারী ও ৭৯ কন্যাশিশু। এই পরিসংখ্যান মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের।
বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার এক বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যৌতুকের কারণে ১০৯ নারী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।
অধিকারের জানুয়ারি মাসের হিসাব অনুযায়ী, ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩৬ নারী ও কন্যাশিশু। এদের মধ্যে ১৩ নারী ও ২৩ কন্যাশিশু। ২৩ কন্যাশিশুর মধ্যে একজনকে ধর্ষণের পর হত্যা ও ৫ জনকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। ১৩ প্রাপ্তবয়স্ক নারীর মধ্যে ১ জন পুলিশ কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। অধিকার প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি মাসে মোট ৩০ নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৫ নারী এবং ১৫ কন্যাশিশু। ১৫ নারীর মধ্যে ৩ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে এবং ১০ জন গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ১৫ কন্যাশিশুর মধ্যে ৩ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে, ৬ জন গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এবং একজন আত্মহত্যা করেছে। এদের মধ্যে যশোরে এক গৃহবধূ আনসার সদস্য ও জয়পুরহাটে ৮ বছরের এক শিশু গ্রামপুলিশ দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়। এসব তথ্য পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে।
ফেব্রুয়ারি মাসে ২৭ নারী যৌতুকের সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৮ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে এবং ৮ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ সময়ে একজন নারী যৌতুকের কারণে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন। ফেব্রুয়ারি মাসে ৫ জন এসিডদগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩ জন নারী এবং ২ জন পুরুষ।
এর বাইরে আরও কত নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়ে বোবাকান্না করছেন তার হিসাব নেই। ধর্ষণের শিকার হয়ে অনেকে সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার ভয়ে লাজলজ্জায় ঘটনা লুকিয়ে রাখেন। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নারী ও মানবাধিকার সংগঠনের নেত্রীরা। নারী ও মানবাধিকার সংগঠনের নেত্রীরা জানান, ধর্ষণ ও ধর্ষণ-পরবর্তী হত্যাকাণ্ডের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে হঠাত্ করেই বেড়ে গেছে। ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের ব্যর্থতাকেই নারী নেত্রী এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো দায়ী করছে।
চাঞ্চল্যকর কয়েকটি ঘটনার চিত্র দেখলে পরিস্থিতির ভয়াবহতা কিছুটা হলেও আঁচ করা যাবে বলে মনে করে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
কেস স্টাডি-১ : গত ১ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজে একদল ছাত্র নামধারী দুর্বৃত্ত ছাত্রীদের লাঞ্ছিত করেছে। আনন্দমোহন কলেজের শতবর্ষ পূর্তি উত্সব শেষে তৃতীয় দিনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ছাত্রলীগের কলেজ শাখা ও ছাত্রসংসদ আয়োজিত কনসার্ট চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় একদল উচ্ছৃঙ্খল যুবক ছাত্রীদের লাঞ্ছিত করে। কয়েকজন ছাত্রী জানান, আওয়ামী লীগ সমর্থিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল বলে তারা অভিযোগ করেছেন। কলেজ কর্তৃপক্ষের তদন্তে এই নির্যাতনের সত্যতা বেরিয়ে এসেছে।
কেস স্টাডি-২ : গত ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে এক ছাত্রীকে কটূক্তি করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ছাত্রলীগের মাস্টারদা সূর্যসেন হল, মুহসীন হল ও কবি জসীম উদ্দীন হলের নেতাকর্মীরা। এ সময় ছাত্রীর সঙ্গে থাকা অভিভাবকরা এর প্রতিবাদ করেন। পরে ছাত্রলীগ কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনের সামনে তাদের গতিরোধ করে। এরপর অশালীন ভাষায় গালিগালাজ এবং ওই ছাত্রী ও তার অভিভাবকদের আটক রেখে হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
কেস স্টাডি-৩ : গত ১ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, যশোরে দশম শ্রেণীর এক মুসলমান ছাত্রী সিঁদুর পরতে না চাওয়ায় তাকে গণধর্ষণ করা হয়। শিশির ঘোষ নামে এক যুবক এ ধর্ষণ ঘটনার মূল হোতা। শিশির ঘোষ স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
কেস স্টাডি-৪ : গত ২৫ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলায় পূজামণ্ডপ থেকে ফেরার পথে এক কিশোরীকে অপহরণের পর ছাত্রলীগের ১০ কর্মী পালা করে ধর্ষণ করেছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনার পর ধর্ষিতার বাবা যাতে আইনগত ব্যবস্থা না নেন, সেজন্য ধর্ষকরা ধর্ষিতার পরিবারকে ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা ৩টি সাদা কাগজে ধর্ষিতা ও তার বাবাকে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করেন।
অধিকারের বার্ষিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ায় পূজা দেখে চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে সপ্তম শ্রেণীর এক কিশোরীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মী রাজিব, সোহেল, রানা, রিগ্যান, রাতুল, পবিত্র, আজিব, সুমন, রাজিব বিশ্বাস ও জুয়েল পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পুলিশ রাজিব ও সোহাগকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করলেও পরে তাদের ছেড়ে দেয়।
কেস স্টাডি-৫ : পিরোজপুরে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের সময় ভিডিওচিত্রে সেই অশ্লীল দৃশ্য ধারণ করা হয়। এ ধর্ষণের ভিডিওচিত্রটি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলে। পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আহসান কবীর মামুন ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের সময় তার বন্ধুদের দিয়ে ভিডিওচিত্রটি ধারণ করে। ধারণ করা ধর্ষণদৃশ্য সিডি করে বাজারজাত করা হয়। একজন নারী নেত্রী ওই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিগত আওয়ামী লীগ শাসনামলে ছাত্রলীগের এক নেতার ধর্ষণের সেঞ্চুরি উত্সবকেও হার মানাচ্ছে এসব ঘটনা। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের এক নেতা ধর্ষণের সেঞ্চুরি উত্সব করেছিল। পরে ওই ছাত্রলীগ নেতাকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল।
কেস স্টাডি-৬ : গত ৩ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা এলাকার এক নববিবাহিত নারী তার স্বামীকে নিয়ে পাগলার নুরবাগে বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে গেলে স্থানীয় যুবলীগ কর্মী আবদুল হক ওরফে হক্কার নেতৃত্বে শরীফ, আমজাদ, স্বপন, তাজুল ইসলাম, ওসমান মোল্লা ও সুমন তাকে তুলে নিয়ে চান মিয়ার বাড়িতে গণধর্ষণ করে। পুলিশ এ ঘটনায় ৩ ধর্ষক আমজাদ, তাজুল ইসলাম ও ওসমান মোল্লাকে গ্রেফতার করলেও মূল আসামি আবদুল হক ওরফে হক্কাকে গ্রেফতার করেনি।
কেস স্টাডি-৭ : গত ১৭ নভেম্বর নোয়াখালী জেলার কবিরহাটে মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে (১২) গণধর্ষণ করে ১২ যুবলীগ কর্মী। গণধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী দীর্ঘদিন নোয়াখালীর স্থানীয় হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ছিল। ধর্ষণের ঘটনায় পরিবারটি বিপন্ন হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় যুবলীগ কর্মী হেদায়েতউল্লাহ ও জহির উদ্দিনকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও অন্যদের ব্যাপারে তখন উদাসীন ছিল।
কেস স্টাডি-৮ : গত ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার সদরঘাটে ১১ বছরের এক কিশোরীকে ৫ জন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। একটি ফাঁকা লঞ্চে ডেকে নিয়ে ভিক্ষুক কিশোরীকে ধর্ষণের পর অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৭ নং ওয়ার্ডে ওই কিশোরীকে চিকিত্সা দেয়া হয়।
কেস স্টাডি-৯ : ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার নোয়াপাড়ায় চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার সময় গত ১ সেপ্টেম্বর অপহরণ করা হয়। ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করে লাশ গোয়ালঘরের মাটিতে পুঁতে রাখে ধর্ষকরা। পুলিশ ও গ্রামের মানুষ গত বছর ৩ অক্টোবর তার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত সহোদর মানিক ও সুজনসহ তাদের মাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ পরিবারটিও সরকারি দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
কেস স্টাডি-১০ : নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার জলসুখা গ্রামের অধিবাড়ি এলাকায় এক কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়। গত ১ সেপ্টেম্বর ঢাকার স্পিনিং মিলের শ্রমিক এক কিশোরী ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পথে তাকে আটক করে দুর্বৃত্তরা। তাকে রাস্তার পাশে একটি নির্মাণাধীন বাড়ির ছাদে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ৫ জনের নামে থানায় মামলা হয়েছে। কেউ আটক হয়নি।
কেস স্টাডি-১১ : গত ৩ মে সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার আদিবাসী পল্লী ক্ষিরপঁওতা গ্রামে পূর্বশত্রুতার জের ধরে আদিবাসী গৃহবধূ কাকলী সিংয়ের ওপর দুর্বৃত্তরা এসিড ছুড়ে মারে। এতে তার মুখ, গলা ও হাত ঝলসে যায়।
কেস স্টাডি-১২ : গত ২৯ অক্টোবর ভোররাতে কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার কমলাপুর গ্রামে দুষ্কৃতকারীরা ঘুমিয়ে থাকা দুই বোন শিলা ও শিমুলির মুখে এসিড ছুড়ে মারে। এসিডে শিলা ও শিমুলির চোখ, মুখ, গলা ও শরীর ঝলসে যায়। এসিডে পাশে শুয়ে থাকা শিমুলির ২১ মাসের মেয়ে জ্যোতির চোখের পাতা ও মাথায় ক্ষত হয়। এসিডে শরীর ও মুখ ঝলসে যাওয়ার খবরে ওইদিনই বিয়ে ভেঙে যায় শিলার।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে ১৭২ নারী এসিড সহিংসতার শিকার হয়েছেন।
এসিড নিয়ন্ত্রণ আইন এবং এসিড অপরাধ দমন আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ার কারণে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে।
বোরকাপরা তিন নারীকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার ও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ
গত ৩ জুলাই পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর থানা পুলিশ বোরকাপরা দুই ছাত্রী ও এক শিক্ষিকাকে তল্লাশি চালিয়ে অবৈধ কিছু না পাওয়া সত্ত্বেও শুধু সন্দেহপূর্বক ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় তাদের গ্রেফতার করে। শুধু তা-ই নয়, নিম্নআদালতের মাধ্যমে তাদের ‘জঙ্গি’ হিসেবে তিনদিনের রিমান্ডে নিয়ে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য টাস্কফোর্স ইন্টেলিজেন্স সেলে (টিএফআই) পাঠানো হয়। টিএফআই সেল ‘জঙ্গিবাদের’ সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততার প্রমাণ পায়নি। গত ২০ জুলাই ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাজিক আল জলিল হাইকোর্টকে জানান, বোরকাপরা তিন নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
ব্যক্তিগত পছন্দ নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার। জিয়ানগর থানা পুলিশ বোরকাপরা তিন নারীকে তল্লাশির পর অবৈধ কিছু না পেয়েও শুধু সন্দেহের কারণে তাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় এবং বোরকা খুলে ছবি তুলে পত্রিকায় প্রকাশ করে। এটা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। সরকারের প্রশ্রয়ে ধর্মপ্রাণ এই তিন নারী দেশের মানুষের সামনে লাঞ্ছনার শিকার হন।
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2010/03/13/22538
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment