Thursday 8 July 2010

পুলিশের হেফাজতে মৃত্যুতে মানবাধিকার কমিশনের উদ্বেগ

বিচারবহির্ভূত হত্যা ও পুলিশের হেফাজতে মানুষের মৃত্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। গতকাল বুধবার আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদের সঙ্গে কমিশনের কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎ শেষে কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর দপ্তরে এই সাক্ষাৎকালে কমিশনের চেয়ারম্যান ছাড়াও পাঁচ সদস্য কাজী রিয়াজুল হক, ফৌজিয়া করিম ফিরোজ, নিরুপা দেওয়ান, সেলিনা হোসেন, নিরু কুমার চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎ শেষে কমিশনের চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, কমিশন মানবাধিকার সুরক্ষায় সাংবিধানিকভাবে দায়বদ্ধ। আইনের যতটুকু সুযোগ আছে, তা প্রয়োগ করে মানবাধিকার সুরক্ষায় কমিশন কাজ করবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা থাকবে বলে আইনমন্ত্রী তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন।
মিজানুর রহমান বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নিখোঁজ নাগরিকের সন্ধান দিতে না পারা, পুলিশের হেফাজতে মানুষের মৃত্যু—এসব বন্ধে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি বলেন, নাগরিক নিখোঁজ থাকবে আর তাঁর পরিবার-পরিজন কমিশনের সামনে কান্নাকাটি করবে, বিচার চাইবে—এটি সভ্য সমাজের লক্ষণ নয়। এটি মানা যায় না। মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো ঘটনাই সহ্য করা হবে না। সরকার যদি উদ্যোগ না নেয়, তবে কমিশন এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী উদ্যোগ নেবে।
সাক্ষাৎকালে কমিশনের পক্ষ থেকে সুবিধাজনক স্থানে কমিশনের কার্যালয় স্থানান্তর, প্রয়োজনীয় জনবল বৃদ্ধি এবং জেলাপর্যায়ে কার্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়।
আইনমন্ত্রী পরে সাংবাদিকদের বলেন, সরকার নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষায় বদ্ধপরিকর। এ জন্য পূর্ণাঙ্গ কমিশন গঠন করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী তাঁরা স্বাধীনভাবে কাজ করবেন। সরকার সেখানে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিচারবহির্ভূত যেকোনো কাজই আইনের শাসনের পরিপন্থী। সরকার ইতিমধ্যে এসব কাজের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। এ ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশনাও সরকার প্রতিপালন করবে।
সরকারের পক্ষ থেকে কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, মানুষের সাংবিধানিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘিত হোক, সরকার তা চায় না।
বিচারের সম্মুখীন না করে কাউকে হত্যা করা অপরাধ। এ ধরনের হত্যায় জড়িত কারও বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে। তিনি জানান, কমিশনের জনবল, কার্যালয় স্থানান্তর ও জেলাপর্যায়ে কার্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব আইন অনুযায়ী বিবেচনা করা হবে।

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2010-07-08/news/76995

No comments:

Post a Comment