কূটনৈতিক রিপোর্টার
মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি বলেছেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়। প্রতিটি বিচারবহির্ভূত হত্যার তদন্ত হওয়া উচিত। তিনি বলেন, উইকিলিকস আমাদের আগামী দিনের কর্মকাণ্ড কঠিন করে তুলেছে। গতকাল হোটেল সোনারগাঁওয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তিনি এসব মন্তব্য করেন। হোটেল সোনারগাঁওয়ে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মনমাউথ ইউনিভার্সিটির যৌথ উদ্যোগে শুরু হয়েছে ৫ দিনব্যাপী সুশাসনের মাধ্যমে উন্নয়ন বিষয়ক সিম্পোজিয়াম। সিম্পোজিয়ামে অংশ নেয়া মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং বিচারবহির্ভূত হত্যা সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার শুধু আমরা নই, এদেশের সাধারণ মানুষও পর্যবেক্ষণ করছে। বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতিতে কেউ সন্তুষ্ট নয়। আমরা বিভিন্ন সময় সরকারকে বলেছি, আজও বলছি প্রতিটি বিচারবহির্ভূত হত্যার তদন্ত হওয়া উচিত। বিনাবিচারে কোনো হত্যা কেউ সমর্থন করতে পারে না। যে কোনো বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।
উইকিলিকসে ফাঁস করা র্যাবের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে মার্কিন তথ্য সংগ্রহ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে এ ব্যাপারে আমরা কোনো তথ্য পাইনি। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে র্যাবের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিভিন্ন তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে। আমরা এখন গণমাধ্যম থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করছি।
উইকিলিকসে ফাঁস হওয়া মার্কিন গোপন নথি সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, এ ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। গণমাধ্যমে যেসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তা গণমাধ্যমেই থাক। আমি শুধু বলব উইকিলিকস আমাদের আগামী দিনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা কঠিন করে তুলেছে। ধরুন আমি অনেকের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে ব্যক্তিগতভাবে অনেক কিছু আলোচনা করি। এসব ব্যক্তিগত আলাপের বিষয় যদি প্রকাশিত হয়ে যায়, তাহলে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়ে। বিরোধী দলের ওপর সরকারের নির্যাতন, বিরোধী দলের সংসদ বর্জনসহ বাংলাদেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কী তা এদেশের সাধারণ মানুষ দেখতে পাচ্ছে। সংসদ কার্যকর করতে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করা উচিত। সরকারের দায়িত্ব বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি বিরোধী দলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং তাদের মতামতকে গুরুত্ব দেয়া। দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবার্ট ব্লেকের আসন্ন ঢাকা সফর সম্পর্কে মরিয়ার্টি বলেন, রবার্ট ব্লেক বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করেন। বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে রয়েছে আমাদের অংশীদারিত্ব। তিনি খাদ্য নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে এখানকার নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন
।
No comments:
Post a Comment