নিউইয়র্ক প্রতিনিধি | তারিখ: ১২-০৩-২০১০
বাংলাদেশে ২০০৯ সালে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সংখ্যাও কিছু বেড়েছে। বেড়েছে জননির্যাতন, সরকারি হেফাজতে মৃত্যু, গণগ্রেপ্তার, সাংবাদিক হয়রানি এবং রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত এবং বিডিআর বিদ্রোহের পর নিরাপত্তা হেফাজতে মৃত্যু তদন্তে সরকারি ব্যর্থতা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। বাংলাদেশে নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতাও গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার সমস্যা হিসেবে বিরাজ করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ২০০৯ সালের মানবাধিকারবিষয়ক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এসব কথা বলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুরে ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে মানবাধিকারের এই বার্ষিক প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। অনুষ্ঠানে হিলারি ক্লিনটন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ অনুসরণ করে সারা বিশ্বে জনগণের অধিকারকে আমাদের সমুন্নত রাখতে হবে।’ তিনি বলেন, সারা বিশ্বে গণতন্ত্র ও উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল।
হিলারি ক্লিনটন বলেন, ‘এই প্রতিবেদন বিশ্বের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ব্যবস্থাপত্র নয়, এ প্রতিবেদনে প্রতিফলিত হয়েছে, মানবাধিকার প্রশ্নে আমাদের বাস্তব অবস্থান কোন পর্যায়ে।’
১৯৪টি দেশের সমন্বিত এ প্রতিবেদনে সরকারব্যবস্থা, নাগরিক অধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, শ্রম পরিস্থিতিসহ মানবাধিকারের বিস্তারিত রূপরেখা উপস্থাপন করা হয়।
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2010-03-12/news/48267
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment